সাধারণত বাংলাদেশে কার্যরত ব্যাংকের পরিচালকরা দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকতে পারে না। তবে এ বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাইরে ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউস বা মানি ট্রান্সফার অপারেটর ও ফাইন্যান্স কোম্পানি হিসেবে স্থাপিত সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক আরোপিত নীতিমালা বা বিধিনিষেধ অনুসরণীয় হয়ে থাকে। এ মুহূর্তে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা চলমান থাকায় রেমিট্যান্স আহরণসহ বিদেশে কার্যরত এক্সচেঞ্জ হাউস ও মানি ট্রান্সফার অপারেটর এবং ফাইন্যান্স কোম্পানি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এতে পরিচালনা সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় যথাযথ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতির কারণে বিদেশের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে; যা ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ব্যাংক-কোম্পানির অর্থায়নে গঠিত ও পরিচালিত ফাউন্ডেশনের জন্য বরাদ্দ করা অর্থের সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন; যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আয়-ব্যয়, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া আবশ্যক।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের বাইরে স্থাপিত ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউস বা মানি ট্রান্সফার অপারেটর এবং ফাইন্যান্স কোম্পানির সুষ্ঠু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বাইরে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি হিসেবে পরিচালিত ওইরূপ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির এবং ব্যাংকের অর্থায়নে গঠিত ও পরিচালিত ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ ও গভর্নিং বডি, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তারা ওই পদে থাকতে পারবেন।
তবে অন্যান্য সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, পরিচালক বা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনা পরিপালনীয় হবে এবং আগের বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে গত বছরের ১১ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে জানানো হয়, ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা পর্ষদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাহী কমিটি, নিরীক্ষা কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি ওই ব্যাংকের সহযোগী বা ব্যাংকের অর্থায়নে গঠিত ও পরিচালিত কোম্পানি বা ফাউন্ডেশনের পরিচালক হতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি এমন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত থাকলে তাকে ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। পরে এ সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা চলমান ও রেমিট্যান্স আহরণে চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় যথাযথ অভিজ্ঞতা ও দক্ষ লোকের অভাবে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯৫-এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: