মূল্যস্ফীতির চাপে যখন সাধারণ মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন আগের তুলনায় বাংলাদেশে বেড়েছে তামাকজাত পণ্যের বিক্রি। বাংলাদেশের বাজারে সিগারেট বিক্রি করে রেকর্ড আয় ও মুনাফা করেছে তামাক পণ্য বাজারজাতকারী বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)।
২৪ জুলাই, সোমবার এই বছরের অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি–জুন) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ২১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি করেছে তারা। এই বিক্রির বিপরীতে সব খরচ ও কর বাদ দেওয়ার পর কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ৯৫০ কোটি টাকা। এই বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি যে ব্যবসা ও মুনাফা করেছে, তা গত ১৩ বছরে একই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিএটিবির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি ৩ হাজার ৯১১ কোটি পিস সিগারেট বিক্রি করেছে। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি বিক্রি করেছিল ৩ হাজার ৫৩৯ কোটি পিস সিগারেট। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৩৭২ কোটি পিস সিগারেট বিক্রি বেড়েছে।
বাংলাদেশের বাজারে বিএটিবি বেনসন, গোল্ডলিফ, ডার্বি, হলিউড, স্টার, ক্যাপসটেন, পাইলটসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট বিক্রি করে।
বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৯ পয়সায়, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ৯৩ পয়সা।
সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন সময় সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী কোম্পানির ওপর কর ও ভ্যাট বাড়িয়ে থাকে। এ কারণে কয়েক বছর ধরেই বাজেটকে কেন্দ্র করে সিগারেটের দাম বেড়ে যায়।
এদিকে বিএটিবির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শুল্ক, কর ও ভ্যাট বাড়িয়েও সিগারেটের ব্যবহার কমানো যায়নি বরং দাম যত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিগারেটের বিক্রিও বেড়েছে। এতে বাড়ছে সিগারেট কোম্পানির আয় ও মুনাফা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: