টারবাইন (বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করার যন্ত্র) ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গত তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে জোরেশোরে চলছে টারবাইন মেরামতের কাজ।
টারবাইন মেরামত শেষে দুই-একদিনের মধ্যেই ফের কেন্দ্রটির উৎপাদন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আনোয়ারুল আজিম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টারবাইন ত্রুটির কারণে গত রবিবার (১৬ জুন) থেকে কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে “ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড”র প্রকৌশলীরা টারবাইন ত্রুটির মেরামতের কাজ করছেন। মেরামত শেষে আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, “কেন্দ্রটিতে বর্তমানে ৫০ হাজার মেট্টিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। শিগগিরই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ১ লাখ মেট্টিক টন কয়লা আসছে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়বে।”
এর আগে কেন্দ্রটির রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য গত ৩০ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে গত ১০ জুলাই চালু হয় কেন্দ্রটি। কিন্তু চালু হওয়ার ছয় দিনের মাথায় কেন্দ্রটির টারবাইন ত্রুটির কারণে ১৬ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জাতীয় গ্রিডে তা সরবরাহ। এর আগেও যান্ত্রিক ত্রুটি, রক্ষণাবেক্ষণসহ নানান সমস্যায় কয়েক দফায় বন্ধ থাকে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
১৩২০ মেগাওয়াটের সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি সমৃদ্ধ রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর। আর দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন যাবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে বলে জানিয়েছেন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: