তদন্ত শেষে সার্ভার সাজানো হবে: এনআইডি ডিজি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ জুলাই ২০২৩ ০৪:২২

(ছবি - সংগৃহীত) (ছবি - সংগৃহীত)

 

নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত শেষে সার্ভার ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন এনআইডির মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তবে এ সময় নাগরিকদের বায়োমেট্রিক কিংবা আঙ্গুলের ছাপও উন্মুক্ত হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
ডিজি দাবি করেন, ‘আমাদের সার্ভারের কোনো প্রকার তথ্য আসেনি ও যায়নি, আমাদের সার্ভার সুরক্ষিত আছে।’

তিনি জানান, যারা আমাদের থেকে সার্ভিস নেন তাদের কারও কাছ থেকে এটা হতে পারে। তদন্তের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের পাঁচ কোটি বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্বপূর্ণ সব গোপন তথ্য ফাঁস, এনআইডি সার্ভার থেকে নয় বরং সার্ভার থেকে চুক্তির মাধ্যমে তথ্য নেয়া ১৭১টি সংস্থার যে কোনো একটির সার্ভার থেকে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর।
তবে প্রক্রিয়াটি নিরাপদ দাবি করে তিনি আরও বলেন, তারা যাতে গেটওয়ের মাধ্যমে তথ্য নিতে পারে সেজন্য আমাদের যে প্রযুক্তি আছে তাতে হয় না, এ জন্য বিশেষ একটা ওয়েতে তথ্য যায়। সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। এনআইডির সেন্ট্রাল সার্ভারে কোনো তথ্য ঢুকেনি। পাঁচ কোটি নাগরিকের তথ্য এনআইডির সার্ভার থেকে যায়নি, এটা নিশ্চিত।

দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আমাদের সার্ভার থেকে সার্ভিস নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি, যে বা যারা সেবা নিচ্ছে তারা কতটুকু সর্তক তা খতিয়ে দেখছি। এ দেখার মধ্যে যদি কারো ত্রুটি-বিচ্যুতি পেয়ে যাই, আমরা তাদের সার্ভিস বন্ধ করে দেবো। এছাড়া যাদের অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ কোটি নাগরিকের গোপনীয় তথ্য ফাঁসের দায়ভার কার, জানতে চাইলে এনআইডির ডিজি বলেন, দায়ভার কাদের তদন্ত করে দেখবো, যারাই হোক শাস্তি দেয়া হবে।

এ সময় ১৭১টি প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা তথ্যে নাগরিকদের আঙ্গুলের ছাপ আছে কি না - গণমাধ্যমের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান এনআইডির ডিজি।

ডিজি হুমায়ুন কবীর বলেন, জন্ম নিবন্ধন অধিদফতরকে আপাতত তথ্য সরবরাহ সেবা বন্ধ রাখা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা স্যাটিসফাইড হবো, যে তাদের ওখান থেকে তথ্য উন্মুক্ত হয়নি, ততক্ষণ তারা সেবা পাবে না।


সার্ভারকে সুরক্ষিত করতে নতুন করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সার্ভিসগুলোকে অডিট করাবো, আমাদের আইসিটি এবং টেকনিক্যাল যে ফোরাম আছে তাদের দিয়ে আমরা কমিটি করাবো। আমাদের সার্ভারে লুপ হোল, ভালনারেলিবিটি আছে কি না চেক করানো হবে। আমাদের এখানে যারা প্রথিতযশা আইসিটি প্রযুক্তিবিদ আছেন তাদের দিয়ে কোর কমিটি করে আরও বেশি সুরক্ষিত অবস্থা তৈরিতে চেষ্টা করবো।

এর আগে বাংলাদেশ সরকারের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: