ফাইল ছবি
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা। বর্তমানে ২৩ লাখ জনসংখ্যার ২০ লাখই এখন উদ্বাস্তু হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। হতাহত হয়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। দেখা দিয়ে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে ইসরাইল ও তার প্রধান মিত্রদের অর্থ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) লন্ডনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আলবানিজ বলেন, ইসরাইলের উচিত যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালির সঙ্গে গাজা পুনর্গঠনের জন্য অর্থ প্রদান করা। এসব দেশ ইসরাইলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে। সেই সাথে ইসরাইলের পাশাপাশি গাজা গণহত্যায় সহায়তাকারী সকল দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, গাজায় গণহত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ্বের সব রাষ্ট্রকে অবশ্যই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, বেআইনি দখলদারিত্ব বজায় রাখা রাষ্ট্রকে সহায়তা এবং সহায়তা দেয়া বন্ধ করতে হবে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, সাইপ্রাসের ঘাঁটি থেকে ইসরাইলে সরবরাহ করা পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে এই গণহত্যার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের জড়িত থাকার বিষয়ে একটি শক্তিশালী তদন্ত হওয়া উচিত। আরও বলেন, গাজায় দুই বছরের গণহত্যা ‘৬০ বছরের দায়মুক্তির সংমিশ্রণ’। তার মতে, ইসরাইলের বিষয়ে লন্ডন, রোম, বার্লিন বা প্যারিসের মনোভাব পরিবর্তন না হলে এই গণহত্যা থামবে না।
এদিকে শীতকালীন ঝড় বাইরনের প্রভাবে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শরণার্থীদের তাঁবু, ভিজে গেছে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁবুর ভেতর হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। এতে শিশুসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: