ফাইল ছবি
গত অক্টোবরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।
কমিটি শর্ট সার্কিট ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে আগুন লাগার কারণ খুঁজে পায়নি বলে উল্লেখ করেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন পাশে বসা ছিলেন। প্রেস সচিবের এ তথ্য প্রদানের আগে তারা গণভোট অধ্যাদেশ বিষয়ে কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, কার্গো ভিলেজে থাকা কুরিয়ার সার্ভিসের পণ্যের স্তূপ থেকে শর্ট সার্কিটের ফলে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে দাহ্য পদার্থের কারণে তা খুব দ্রুতই ছড়িয়ে যায়। এ ছাড়া কুরিয়ার এলাকাগুলোয় ছোটো ছোটো লোহার খাঁচা থাকায় সেখানেও আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টের এমন কথাই জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। রিপোর্ট হস্তান্তরের পর মঙ্গলবারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হয় বলেও জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, দেশীয় তদন্ত ও গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি বিদেশি সংস্থা হিসেবে তুরস্কের একটি দলও এ তদন্তে অংশ নেয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও পৃথক তিনটি কমিটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে সেসব কমিটির প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অগ্নিনির্বাপণে কাজ করে বাংলাদেশ বিমান, সেনা ও নৌবাহিনী। প্রায় ২৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: