11/19/2025 মাদুরোর সাথে 'আলোচনার' ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৭ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০৩
সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক তৎপরতায় দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তিনি ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন।
ওয়াশিংটন মাদুরো পরিচালিত একটি কার্টেলকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা আরো জোরদার করার পর প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
ট্রাম্প ফ্লোরিডায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা হয়তো মাদুরোর সঙ্গে কিছু আলোচনা করতে পারি। আমরা দেখব সেটা কিভাবে করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘তারা কথা বলতে চাইবে।’
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা কার্টেল দে লস সোলস (কার্টেল অব দ্য সানস)-কে একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন এফটিওর অন্তর্ভুক্ত করবে। তারা একে মাদুরোর নেতৃত্বের বলে দাবি করে।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিশাল সামরিক অভিযানের পর, ২৪ নভেম্বর থেকে এই ঘোষণা কার্যকর করা হবে।
ওয়াশিংটন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার রোধ করার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ট্রেন দে আরাগুয়া ও সিনালোয়া ও এফটিও-মনোনীত অন্যান্য কার্টেল ও কার্টেল দে লস সোলস আমাদের গোলার্ধজুড়ে সন্ত্রাসী সহিংসতার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদক পাচারের জন্য দায়ী।’
তবে কারাকাস দাবি করেছে, এটি আসলে তাদের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে উৎখাত করার একটি চক্রান্ত, যাকে যুক্তরাষ্ট্র একজন অবৈধ নেতা ও মাদক সম্রাট বলে দাবি করে করে। তবে মাদুরো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রুবিও রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে ‘কার্টেল দে লস সোলসের নেতৃত্বে মাদুরো ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন, যারা ভেনিজুয়েলার সামরিক, গোয়েন্দা, আইনসভা ও বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছেন।’
তিনি আরো বলেন ,‘মাদুরো বা তার সহযোগীরা কেউই ভেনিজুয়েলার বৈধ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না।’
অন্যান্য লাতিন আমেরিকান অপরাধ গোষ্ঠীগুলোকে ‘বস্তুগত সহায়তা’ প্রদানের অভিযোগে বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংস্থা হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার পর জুলাই মাসে ট্রেজারি কার্টেল দে লস সোলসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।
রুবিও আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং মাদক-সন্ত্রাসীদের তহবিল ও সম্পদ প্রত্যাখ্যান করার জন্য সব উপলব্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার চালিয়ে যাবে।’
এএফপির প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, সেপ্টেম্বরে পাচারবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে, বাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় মাদক পরিবহনের অভিযোগে কমপক্ষে ৮৩ জনকে হত্যা করেছে।
ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০টিরও বেশি হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা ওই ব্যক্তিরা পাচারকারী ছিল বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র, তবে এর কোনো বিবরণ বা প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব মৃত্যু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমান, এমনকি যদি তা পরিচিত পাচারকারীদের লক্ষ্য করেও করা হয়।
সেনাবাহিনীও রবিবার নিশ্চিত করেছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড বিমানবাহী জাহাজটি এখন চোরাচালানবিরোধী অভিযানের জন্য (যাকে ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ বলা হয়) দুটি গাইডেড-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী এবং অন্যান্য সহায়ক জাহাজ ও বিমানসহ ক্যারিবিয়ান সাগরে রয়েছে।
পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে সর্বশেষ হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার এক দিন পর এই আগমনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.