11/16/2025 নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাবের বিপরীতে রাশিয়ার বিকল্প প্রস্তাব পেশ
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:১৬
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার সমর্থনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি পৃথক প্রস্তাব পাস করানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই একটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। যেটিকে প্রস্তাবের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আল জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া তাদের খসড়া প্রস্তাব দেয় বৃহস্পতিবার। এ সংক্রান্ত একটি নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা পরিকল্পনা থেকে অনুপ্রাণিত।
নোটে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘খসড়ার লক্ষ্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও ঐক্যবদ্ধ পন্থা তৈরি করা। যা নিরাপত্তা পরিষদকে সংঘর্ষের টেকসই অবসান নিশ্চিতে সক্ষম করবে।’
রাশিয়ার খসড়া প্রস্তাবে জাতিসংঘ মহাসচিবকে গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের সম্ভাব্য বিকল্পগুলো খুঁজে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত গাজার অন্তর্বর্তী প্রশাসন ‘বোর্ড অব পিস’ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদে তাদের খসড়া উপস্থাপন করে। তাদের দাবি, এই প্রস্তাবের পক্ষে আঞ্চলিক সমর্থন আছে। প্রস্তাবে গাজায় দুই বছর মেয়াদী অন্তর্বর্তী শাসন ব্যবস্থা এবং আইএসএফ গঠনের কথা উল্লেখ আছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন নিরাপত্তা পরিষদকে ওয়াশিংটনের খসড়া প্রস্তাব এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মিশনের এক মুখপাত্র বলেন, এখন বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা ফিলিস্তিনিদের জন্য খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে। যুদ্ধবিরতি খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। তাই অত্যন্ত জরুরি এই শান্তি উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের গাজা পরিকল্পনা মেনে গত মাস থেকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় করছে ইসরায়েল-হামাস। এরমধ্যেই আইএসএফ নিয়ে বিকল্প খোঁজার আহ্বান জানাল রাশিয়া। বাহিনীটি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা হলো- এটি ইসরায়েল, মিশর ও নতুনভাবে প্রশিক্ষিত ফিলিস্তিনি পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে। এর লক্ষ্য সীমান্ত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ভূখণ্ডটি (ফিলিস্তিন) অস্ত্রমুক্ত করা।
এর আগে আলোচনা উঠেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় সেনাও মোতায়েন করতে পারেন। তবে সে সম্ভাবনা নাকচ করে কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন ও এতে অবদান রাখার জন্য ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, কাতার, তুরস্ক ও আজারবাইজানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.