11/05/2025 আরপিও সংশোধনীতে নতুন বিধান, ফিরল ‘না ভোট’
মুনা নিউজ ডেস্ক
৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪২
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৪ জন ‘এমপি’ হওয়ার মতো ‘নির্বাচন’ যেন আর এই দেশে না হয়, সেই লক্ষে ‘না’ ভোটের বিধান আনা হয়েছে।
সোমবার আইন মন্ত্রণালয় লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এর আগে অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধিকতর সংশোধন করে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। তাতে একগুচ্ছ পরিবর্তনের পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন বিধানও।
আরপিও’র ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী- কোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যদি একজন থাকেন, তাহলে ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোটের বিধান থাকবে অর্থাৎ যেই নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকবে, সেখানে ভোটাররা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। ‘না ভোট’ বেশি হলে ওই এলাকায় নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না।
সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনো নির্বাচনি এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই প্রার্থীও ‘না ভোট’-এর মধ্যে। যদি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ‘না ভোট’-এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে ‘না ভোট’ বেশি হলে ওই এলাকায় নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দ্বিতীয়বার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও শেষ পর্যন্ত একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.