10/14/2025 সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ইরানের যুক্ত হওয়া উচিত : খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪১
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাম্প্রতি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তেহরানকেও যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম সাফাভি।
ইরানি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজি) জেনারেল সাফাভি বলেন, “ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং ইরাক একটি সম্মিলিত নিরাপত্তা চুক্তি করতে পারে।”
সফাভি যে চুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, তা হলো ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘স্ট্র্যাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএমডিএ)’। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের উপর যেকোনও আক্রমণকে উভয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি। কাতারে ইসরায়েলের হামলার পর আঞ্চলিক কূটনৈতিক হিসাব পরিবর্তনের ঠিক এক সপ্তাহ পর এই চুক্তি হয়। চুক্তি নিয়ে কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া আলোচনা করে যে, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচিও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জোর দিয়ে বলেন, চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের কাছে কোনও পারমাণবিক অস্ত্র বিক্রি করবে না পাকিস্তান। বিশ্লেষকরা চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক ও অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা অঙ্গীকারে উন্নীত করে। এর ফলে যেকোনও আক্রমণকে উভয়ের উপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করার বাধ্যতামূলক ধারা চুক্তিটিকে অন্য চুক্তির তুলনায় আলাদা করেছে।
সাফাভি বলেন, এই পদক্ষেপ পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া ও ইসলামিক বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, যা পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে অবস্থান দেবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আঞ্চলিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। কারণ তারা এখন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মনোনিবেশ করছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা একটি আঞ্চলিক ইসলামিক জোট গঠন করতে পারি।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.