নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন শহরে অন্তত ৯টি মসজিদে ঘৃণাপূর্ণ বার্তা পাঠানোর ঘটনা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। এসব চিঠিতে ছিল ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য ও মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর ব্যঙ্গচিত্র, যা রক্ত সদৃশ লাল পদার্থ দিয়ে লেখা বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রটারড্যামে, আইন্দহোভেন, আর্নহেম, টিলবার্গ ও হেগের মসজিদগুলো এই চিঠি পেয়েছে। মসজিদগুলোর ইমাম ও পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, পাঠানো বার্তাগুলোতে ঘৃণা ও সহিংসতার উসকানি রয়েছে।
চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল মহানবী (সা.)-এর একটি ব্যঙ্গচিত্র, যা ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মূলত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার উদ্দেশ্যেই এগুলো পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় মুসলিম নেতারা।
ডাচ জাতীয় মসজিদ সংগঠন কে৯-এর মুখপাত্র জোরাম ভ্যান ক্লাভেরেন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম NOS-কে বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই ভয় দেখানোর একটি কৌশল। রটারড্যামে প্রাপ্ত এক চিঠিতে লেখা ছিল, “ইউরোপে ইসলামের শেষ দিন ঘনিয়ে এসেছে।” এসব বার্তা কেবল ঘৃণায় পরিপূর্ণই নয়, বরং হুমকিও বহন করে।’
ভ্যান ক্লাভেরেন আরও বলেন, ‘এই ঘটনার মধ্য দিয়ে মুসলিমদের মধ্যে পুরনো ভয়াবহ হামলার স্মৃতি ফিরে এসেছে। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছিলেন। এমনকি চলতি বছর ফ্রান্সে নামাজরত অবস্থায় এক মুসল্লিকে হত্যা করা হয়।’
মসজিদ কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। রটারড্যামের মেয়র ক্যারোলা স্খাউটেন-এর সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মসজিদ কমিটি। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে বলে জানা গেছে।