11/22/2024 ল্যাবএইড হাসপাতালের এমডিসহ সাতজনের নামে হত্যা মামলা
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৭ জুন ২০২৩ ০৮:০৫
ভুল চিকিৎসায় এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগে বাংলাদেশের ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. এ এম শামীমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৬ জুন, সোমবার বাংলাদেশের রfজধানী ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে মামলাটি করেন মৃতের বাবা বাবা মনির হোসেন।
আদালত ধানমন্ডি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সার্জন ডা. মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশাররফ, ডা. কনক ও হাসপাতালের ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার মো. শাহজাহান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৭ বছর বয়সী তাহসিন নামের কিশোর কিছুদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিল। গত ২৭ মার্চ তাকে ল্যাবএইডের ডা. সাইফুল্লাহকে দেখানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তার অবস্ট্রাক্টিভ স্মল গাট বা নাড়ির প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা এবং মলত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে।
এরপর ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরেও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন তাহসিনের মৃত্যু হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সজীব সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত কিশোরের বাবার অভিযোগ, আমার ছেলের কী রোগ হয়েছে, সেটাই ডাক্তাররা জানাতে পারেননি। অথচ তার দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমার ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। হাসপাতালকে দিতে হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ টাকা। আমি প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও দেয়নি।
তিনি বলেন, “চিকিৎসার নামে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ এবং এই চিকিৎসকরা আমার ছেলেকে তিলে তিলে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।”
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.