ইরানের ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানকে চুক্তি করার জন্য একের পর এক সুযোগ দিয়েছিলেন কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। কিছু ইরানি কর্মকর্তা সাহসের সাথে কথা বলেছেন, কিন্তু তারা জানতেন না কী ঘটতে চলেছে। ট্রাম্প একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, তারা সবাই এখন মৃত।

ট্রাম্প আর লিখেছেন, ইতিমধ্যেই প্রচুর মৃত্যু এবং ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে, তবে এই হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটানোর জন্য এখনও সময় আছে। পরবর্তী পরিকল্পিত আক্রমণগুলি আরও নৃশংস হবে।

ট্রাম্প বলেন, কিছুই অবশিষ্ট না থাকার আগে ইরানকে একটি চুক্তি করতে হবে এবং একসময় ইরানি সাম্রাজ্য নামে পরিচিত যা ছিল তা রক্ষা করতে হবে। আর মৃত্যু নয়, আর ধ্বংস নয়, শুধু এটা করো, খুব দেরি হওয়ার আগেই।

এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন যে আমেরিকা এই হামলার সাথে জড়িত ছিল না এবং কোনও সহায়তা প্রদান করেনি। তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হল এই অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীকে রক্ষা করা।

অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ওমান বলেছেন যে তারা এই উত্তেজনা এবং এর পরিণতির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন যে হামলার খবর উদ্বেগজনক এবং উত্তেজনা হ্রাস করার আহ্বান জানিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন যে এই হামলাগুলো ইতিমধ্যেই অস্থিতিশীল একটি অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করার ঝুঁকিতে ফেলেছে। জাপান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং সৌদি আরবও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

চীন বলেছে যে এই হামলাগুলো মারাত্মক পরিণতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।