ক্যান্সারের সাথে লড়াইরত বাইডেন বলেছেন যে, তার প্রশাসনের সময় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো তারই নেয়া। সেইসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি কংগ্রেসে ধনীদের জন্য কর কর্তনের বিল থেকে আমেরিকানদের মনোযোগ সরিয়ে নেয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রিপাবলিকান ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন যে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে পরাজিত করা ডেমোক্র্যাট বাইডেন মানসিকভাবে অযোগ্য ছিলেন। তিনি দাবি করেন, বাইডেন প্রকৃতপক্ষে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনে অক্ষম ছিলেন, তবু তার স্বাক্ষর ব্যবহার করে নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

 

ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেনের উপদেষ্টারা তার ‘মানসিক দুর্বলতা’ আড়াল করেছেন এবং বাইডেন অটোপেন ব্যবহার করে স্মারকলিপি, নির্বাহী আদেশ এবং ক্ষমা মঞ্জুর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজে স্বাক্ষর করে বেআইনিভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন।

 

বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে, বাইডেন সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই প্রেসিডেন্ট  থাকাকালীন সিদ্ধান্তগুলো আমিই নিয়েছিলাম। ক্ষমা, নির্বাহী আদেশ, আইন এবং ঘোষণা সম্পর্কে আমিই  সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমার সম্পর্কে ওঠা অভিযোগ হাস্যকর এবং মিথ্যা।

 

বাইডেনের সহযোগীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে যে, প্রেসিডেন্টরা আইনি দস্তাবেজে অটোপেন ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি ক্ষমার আদেশেও। কিন্তু ট্রাম্প দাবি করছেন, এটি বাইডেনের পক্ষে তার উপদেষ্টাদের অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের প্রমাণ। গত মাসে বাইডেনের অফিস থেকে জানানো হয়েছিল যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত । সেই ঘটনা এবং পুনরায় নির্বাচনের জন্য বাইডেনের মানসিক তীক্ষ্ণতা সম্পর্কে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে একটি নতুন বই প্রকাশের পর সাবেক প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের খবর নতুন করে শিরোনামে এসেছে। ক্যান্সার নির্ণয়ের পর ট্রাম্প বাইডেনের সুস্থতা কামনা করলেও, আমেরিকার সামনে থাকা  নানা চ্যালেঞ্জের জন্য ট্রাম্প তার পূর্বসূরির সমালোচনা করে চলেছেন। বাইডেনের ক্ষমতায় থাকাকালীন তার কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার জন্য ট্রাম্পের নয়া নির্দেশ এই সমালোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সোমবার ট্রাম্পের বিচার বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা  জানিয়েছেন যে, মেয়াদ শেষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের ক্ষমা করার সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নাকি তার উপদেষ্টারা অটোপেন ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তা তদন্ত করার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।