11/22/2024 টিকে থাকার লড়াই : ৩ হাজার মাইল পাড়ি শামুকের
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৩ জুন ২০২৩ ১০:৫৭
ইংল্যান্ড থেকে ৩ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ৩ হাজার শামুক পৌঁছেছে বারমুডায়। এই দীর্ঘ যাত্রা ছিল বিলুপ্তপ্রায় বারমুডা ল্যান্ড শামুকের অস্তিত্ব রক্ষার।
জানা যায়, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের দীপপুঞ্জে এদের আদি নিবাস। কিন্তু গত পাঁচ দশকে এদের সংখ্যা এমন আশঙ্কাজনক হারে কমে যায় যে, মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এগুলোকে। এরপরই শুরু হয় বারমুডা শামুক রক্ষার আন্দোলন।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের চেস্টার চিড়িয়াখানার প্রাণিবিজ্ঞানী জেরাডো গার্সিয়ার কাছে এই প্রজাতির ৬০টি শামুক পাঠানো হয়। বিলুপ্তি ঠেকাতে গার্সিয়া গবেষণাগারে এই শামুকগুলোকে নিয়ে কাজ করতে থাকেন। এরপর সেখানেই সফল প্রজননের মাধ্যমে ক্রমশ বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা।
গার্সিয়া বলেন, ‘যখন আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। তখন এই শামুকগুলো ছিল বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এখন আমরা বলতে পারি যে, আমাদের কাজে সফল হয়েছি।’
আর সে কারণেই শামুকগুলোকে পাঠানো হচ্ছে তাদের আদি নিবাসে। কার্গো বিমানে করে ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক আর ২ হাজার ছোট বারমুডা শামুককে ৩ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে রেখে আসা হলো বারমুডার তিনটি দ্বীপ—ট্রাঙ্ক আইল্যান্ড, হিগস ও পোর্ট আইল্যান্ডে।
এর আগেও কয়েক দফায় এ প্রজাতির শামুক স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এর ফলাফল কী দাঁড়াচ্ছে, এরা প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রজননে সক্ষম হচ্ছে কি না ইত্যাদি বিষয় এখনো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে আঙুরের মতো ছোট্ট ছোট্ট এসব শামুকের গতিবিধি, খাদ্য গ্রহণ, প্রজনন ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণ কিন্তু মোটেও সহজ নয়।
সূত্র : সিএনএন
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.