চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন গ্যাং বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। তিনি আরো বলেছেন, এই অবস্থা দু’দেশের কারো স্বার্থ রক্ষা করবে না।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিং সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চীন সফরে গেছেন ব্লিঙ্কেন।

জিন গ্যাং তার যুক্তরাষ্ট্র সমকক্ষকে বলেন, চীন ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দু’দেশের সম্পর্ক আর কখনও এতটা তলানিতে ঠেকেনি। এ পরিস্থিতি চীন বা যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের জনগণের জন্যই কল্যাণকর নয়।

চীনা কর্তৃপক্ষ আমেরিকার ব্যাপারে একটি ‘ধারাবাহিক স্থিতিশী’ নীতি বজায় রেখেছে বলে জানান কিন। তিনি বলেন, তার দেশ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের ভিত্তিতে বেইজং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায়। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাজেই বেইজিংও আশা করে যুক্তরাষ্ট্র পক্ষও চীনের প্রতি বাস্তবস্মত ও যৌক্তিক অবস্থান গ্রহণ করবে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই আলোচনাকে "অকপট, সারগর্ভ এবং গঠনমূলক" বলে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা আমেরিকান জনগণের স্বার্থ এবং মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়াবে এবং তার মিত্র ও অংশীদারদের সাথে কাজ করবে। আমেরিকা এমন একটি বিশ্ব গড়তে চায় যেখানে সবার দৃষ্টিভঙ্গি হবে মুক্ত, উন্মুক্ত এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কে সমর্থন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাণিজ্য, প্রযুক্ত এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ বেশ কিছু ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও আমেরিকার সম্পর্কে ভাটা পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘এক চীন নীতি’ লঙ্ঘন করে তাইওয়ানের সঙ্গে একটি স্বাধীন দেশের মতো সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করায় ওই সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে।

সূত্র : আল-আরাবিয়া নিউজ