03/10/2025 রমাদানে আল-আকসায় মুসল্লী ঠেকাতে বয়সসীমাসহ নানা শর্ত ইসরায়েলের
মুনা নিউজ ডেস্ক
৭ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৯
ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ, আল-আকসায় প্রতি বছর রমাদান মাসে মুসল্লিদের ভিড় বেড়ে যায়। মুসলমানরা এই পবিত্র স্থানটিতে নামাজ পড়তে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে আসেন। তবে, এ বছর ইসরায়েল এক নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে ফিলিস্তিনিদের জন্য আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের সুযোগ সীমিত করা হয়েছে। জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত তরুণ ফিলিস্তিনিদের জন্য এই মসজিদে প্রবেশের অনুমতি নেই।
প্রসঙ্গত, তরুণদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং ইসরায়েল বিভিন্ন সময় তাদের পবিত্র এ মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তারপরও অনেক তরুণ ফিলিস্তিনি নামাজ পড়তে এবং পবিত্র স্থানটিতে প্রার্থনা করতে সেখানে গিয়ে থাকেন।
এই ইস্যু নিয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল রমাদান মাসে আল-আকসা মসজিদ এবং পূর্ব জেরুজালেমে যাওয়ার পথগুলোতে চেকপয়েন্ট বসানো রয়েছ। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৩,০০০ পুলিশ মোতায়েন থবকেছ, যাতে মুসল্লিদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এ ছাড়া ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পশ্চিমতীর থেকে মাত্র ১০,০০০ ফিলিস্তিনিকে আল-আকসায় যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে, যা একটি সীমিত সংখ্যা।
উল্লেখ্য, আল-আকসা মসজিদকে মুসলিমরা ‘আল-আকসা’ নামে অভিহিত করলেও, ইহুদিরা এটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে চিহ্নিত করে থাকে, কারণ তাদের দাবি অনুযায়ী এখানে তাদের প্রাচীন প্রার্থনাস্থল ছিল। এই দ্বন্দ্বটির কারণে এই স্থানটি নিয়ে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে।
এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠেছে এবং এটি তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারগুলোর প্রতি ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.