04/12/2025 ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে এলো ৩১ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড রেমিট্যান্স
মুনা নিউজ ডেস্ক
২ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩১
দেশে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ডলার বা ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারিতে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।
এবারের ফেব্রুয়ারিতে আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে রেমিট্যান্সে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২.১৬ বিলিয়ন ডলার। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল ২.১২ বিলিয়ন ডলার। গত ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা সাত মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা তখনকার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। তবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেই রেকর্ড ভেঙে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক প্রভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২০.৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, এই হিসাব করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে মোট রিজার্ভ ২৬.১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
ইতিবাচক রেমিট্যান্সে রিজার্ভে সুখবর
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলারে।
তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২৩ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২ বিলিয়ন ডলার বা ২০৭ কোটি ডলার। সে হিসেবে প্রতিদিন আসছিল ৯ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৭২৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.