02/21/2025 ১৪ শতাধিক মানুষ হত্যা ও নৃশংসতা শেখ হাসিনার নির্দেশে : জাতিসংঘ
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:০৭
গণঅভ্যুত্থানকালে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। একই সময়ে আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচএসিএইচআর) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ ছিল শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংসতা করেছে। তারা ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনে পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল।
সরাসরি বিক্ষোভ পরিচালনার সঙ্গে জড়িত প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের কর্মকর্তারা একাধিক বৃহৎ আকারের অভিযানের নির্দেশনা দেন ও তদারকি করেন, যেখানে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলিকরে হত্যা করেছিল বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, "এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল।"
তিনি বলেন, বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে এবং তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ব্যাপক পরিসরে নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.