02/06/2025 জাপানে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম সংখ্যা; কবরস্থানের সংকট
মুনা নিউজ ডেস্ক
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৯
জাপান বরাবরই সংখ্যালঘু দেশ হিসেবেই পরিচিত। তবে সাম্প্রতিককালে এই দেশে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে এই দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মসজিদের সংখ্যাও। এক প্রতিবেদনে মিডেল ইস্ট মনিটর এ তথ্য জানায়।
সূত্রের খবর, পূর্ব এশিয় দেশগুলির মধ্যে সব থেকে দ্রুত গতিতে বেড়েছে জাপানের ইসলাম। গোটা দেশে ২০১০ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার। গত এক দশকে জাপানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় দেশটিতে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে ৫০ হাজার জাপানি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
সূত্রের খবর, জাপানের সরকার দেশটিতে বিদেশি শ্রমিক এবং শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছে। জাপানে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা অনেকেই রিতসুমেইকান এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিতে পড়েন। এর পাশাপাশি তাঁরা বিভিন্ন হোটেলে পার্টটাইম কাজ করেন। কেউ কেউ আবার কাজ করেন মাছ ধরার নৌকায়। আবার কেউ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
মুসলিম ধর্মালম্বিদের সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে জাপানে বেড়েছে মসজিদের সংখ্যাও। প্রায় ১১০টিরও বেশি মজিদ আছে। ২০০১ সালে জাপানে মাত্র ২৪ টি মসজিদ ছিল বলে জানা গেছে। মুসলিমদের সংখ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হালাল খাবারের দোকানও।
জাপানে বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার। মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা বাড়ালেও বাড়েনি কবরস্থানের সংখ্যা। ফলে কবরস্থান নিয়ে জাপানের মুসলিমের এখনও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, জাপানের ৯৯ শতাংশ মানুষকে দাহ করা হয়। তবে ইসলামে দেহ দাহ করা নিষেধ। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বিএমএ। কবরস্থানের জন্য প্রায় এক দশক ধরে টাকা তুলছে বিএমএ।
তবে কবরের জন্য জায়গা নির্ধারণের পর স্থানীয় মানুষরা তার বিরোধীতা করেছে। তাঁদের দাবি, কবরস্থান থাকলে সেখানকার পানি তাঁরা খেতে পারবেন না। কিন্তু ইসলাম জাপানে দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম হবার কারণে নতুন এই সমস্যা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।
জাপানের কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে যে মিয়াগি প্রিফেকচারের গভর্নর ইয়োশিহিরো মুরাই বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে একজন মুসলিম বাসিন্দা তাকে বলেছেন যে কবরের অভাবের কারণে জাপানে বসবাস করা ‘খুবই কঠিন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি একটি নতুন কবরস্থান তৈরির কথা বিবেচনা করছেন।
তোহোকু অঞ্চলে কবরস্থানের অনুপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে মুরাই বলেন, ‘ নতুন কবরস্থান তৈরির কথা মাথায় রেখে দ্রুত জাপান সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.