02/05/2025 বিধ্বস্ত বিমানের ইঞ্জিনে পাখির পাখা মিললো দ. কোরিয়ায়
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ২২:১২
গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় জেজু এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান দুজন। বিমান বিধ্বস্তের পরপরই ধারণা করা হয়েছিল, পাখির আঘাতে হয়ত এটি মাটিতে আছড়ে পড়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটির ইঞ্জিনের ভেতর পাখির পাখা ও রক্ত পাওয়া গেছে ।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
গত ২৯ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড থেকে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার ও পেছনের চাকা কোনোটিই খোলেনি। এতে করে এটি চাকা ছাড়া অবতরণ করে। কিন্তু অবতরণের পরই রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে কংক্রিটের দেওয়ালে আঘাত হানে এটি। এতে সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি বিস্ফোরিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দেওয়ালটি না থাকলে হয়ত বিমানটি বিস্ফোরিত নাও হতে পারতো।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই পাইলট পাখির আঘাতের ব্যাপারে কন্ট্রোল টাওয়ারকে অবহিত করেন। ওই সময় ‘মে ডে’ ঘোষণা করে রানওয়ের বিপরীত দিক দিয়ে বিমানটি অবতরণ করান তারা।
বিমানের দুর্ঘটনার কারণ জানতে সবচেয়ে বড় সহায়ক হয় ‘ব্ল্যাক বক্স’। যেটিতে একটি বিমানের সবকিছু রেকর্ড করা থাকে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার চার মিনিট আগে ব্যাক বক্সে রেকর্ড হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.