বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারী মারা গেছেন। তবে তিনি অন্য সংক্রমণেও আক্রান্ত ছিলেন।
বুধবার গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় নারী মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানজিদা আক্তার (৩০) নামের ওই রোগীর মৃত্যু হয়।

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এইচএমপিভি শনাক্ত হওয়া ওই নারীমারা গেছেন। তবে তিনি এইচএমপিভি ভাইরাসের জন্যই মারা গেছেন, এমনটি বলা যাবে না। তাঁর আরও অন্য শারীরিক জটিলতা ছিল। সে জন্য হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
আরিফুল বাশার জানান, সানজিদা ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৯ জানুয়ারি সানজিদা আক্তারের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা হলেও থাকতেন নরসিংদীতে। সেখানেই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।

এদিকে বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, এইচএমপিভি ভাইরাস ২০১৭ সালে প্রথম শনাক্ত শনাক্ত হয়। সেই থেকে ভাইরাসটি দেশে ছিল এবং আছে। গত বছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত দুজন শনাক্ত হয়েছিলেন।

চিকিৎসকেরা জানান, এইচএমপিভি আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি হয়, নাক বন্ধ হয়ে যায়, শরীরে ব্যথা হয়। তবে শিশু, বয়স্ক এবং বয়স্ক যেসব ব্যক্তি ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, এই ভাইরাস তাদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে।