01/15/2025 কে হতে পারেন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশী অতিথি
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫:৪৫
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম ইউরোপ বা অন্যদেশের কোন নেতাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকেরা বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মতো নেতাদের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, যাতে হোয়াইট হাউসের ঐতিহ্যবাহী ‘বিউটি প্যারেড’-এ সবার আগে কিয়ার স্টারমারকে রাখা যায়। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের পরবর্তী কয়েক দিনে হোয়াইট হাউসে বিদেশি নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। এটাকেই ‘বিউটি প্যারেড’ বলা হয়।
কিন্তু জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের আশঙ্কা, গণতান্ত্রিক ও বামপন্থী-মধ্যপন্থী ইউরোপীয়দের বদলে ট্রাম্প প্রথম সাক্ষাতের জন্য অতি ডানপন্থী রাজনৈতিক আদর্শিক সখ্য আছে, এমন নেতাদেরই বেছে নিতে পারেন। তাঁরা এমনটি ইঙ্গিত দিচ্ছেন, কিয়ার স্টারমারকে যদি ঘটনাচক্রে আমন্ত্রণই জানানো না হয়, সে ক্ষেত্রে মুখরক্ষার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে যাতে হোয়াইট হাউসে দাওয়াত দেওয়া হয়, সে জন্য তিনি ও তাঁর দলের লোকজন প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন ট্রাম্প যাতে ন্যাটোকে সমর্থন করেন, এই বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি শক্তিশালী বিবৃতি আদায় করেছিলেন থেরেসা। পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েও ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন এই নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু ওই সফর নিয়ে থেরেসা মে’র কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। কারণ, তখন হোয়াইট হাউসে পাশাপাশি হাঁটার একপর্যায়ে হঠাৎ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ফেলেছিলেন ট্রাম্প। পরে জানা গেছে, থেরেসা মে এতে বেশ বিব্রত হয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যের সাবেক এক শীর্ষ রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ট্রাম্প দুই দেশের বিশেষ সম্পর্ককে সম্মান জানাবেন, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। দুজনের ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কিয়ার স্টারমারের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি সত্য।
সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, ‘ট্রাম্প কী করবেন, তা কেউ জানেন না। কিন্তু ডানপন্থী হিসেবে তিনি জর্জিয়া মেলোনি বা ভিক্টর অরবানকে প্রথমে আমন্ত্রণ জানালে তাতে আমি অবাক হব না। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে এরই মধ্যে ভয়ংকর বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক স্টারমার সরকার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।’
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বৈঠক করার জন্য প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে কিয়ার স্টারমারকে আমন্ত্রণ না জানালে, তা তাঁর জন্য সাময়িকভাবে বিব্রতকর হলেও গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমস্যা হবে না বলেও মনে করেন এই কূটনীতিক।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.