12/27/2024 ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা পেলো বাংলাদেশে
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১৪
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সহকারী ইউএসটিআর ব্রেন্ডন লিঞ্চের নেতৃত্বে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের (ইউএসটিআর) সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের নতুন ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রতিনিধি দল আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্টের (টিকফা) পরবর্তী অধিবেশন আগামী বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে। টিকফা বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়নের খাতসহ পারস্পরিক স্বার্থের জন্য সহযোগিতাকে আরও গভীর, শক্তিশালী এবং বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা করবে।
লিঞ্চের সঙ্গে ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোলদিন এবং ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড লেবার অ্যাটাশে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ট্রেড পলিসি অ্যানালিস্ট এমিলি অ্যাশবি। প্রয়োজনীয় শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) থেকে জিএসপি সুবিধা এবং অর্থায়ন ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সফররত প্রতিনিধি দল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, আইসিটি বিভাগ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে টিকফা-পূর্ব আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিবকে সর্বশেষ বিবরণ তুলে ধরেন।
এ সময় লিঞ্চ বাংলাদেশে একটি স্বচ্ছ, প্রত্যাশিত, স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়ের পরিবেশ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইউএসটিআর অফিসের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইউএসটিআর প্রতিনিধিদল প্রয়োজনীয় সকল শ্রম সংস্কার, আইপি নিয়ন্ত্রণ এবং কাস্টমস আধুনিকায়নে সহযোগিতা ও সমর্থন করার জন্য তাদের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।
লিঞ্চ জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল এবং ডিএফসি থেকে অর্থায়ন পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ১১ দফা শ্রম কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
পররাষ্ট্র সচিব বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি অভ্যন্তরীণ শ্রম পরিবেশকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র সচিব শ্রম খাতের সংস্কারের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, বার্ষিক ৯ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধি, ১৮ দফা শ্রম চুক্তি বাস্তবায়ন এবং ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করা। তিনি বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজ করতে প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংস্কার উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.