11/25/2024 আলোচনার সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের অচলাবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে
মুনা নিউজ ডেস্ক
১০ জুন ২০২৩ ১০:১৫
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েক দফা নতুন আলোচনার ফল হিসেবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেজিং সফরে যেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে দুই প্রতিপক্ষকে একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ দিয়ে সন্দেহজনক চীনা গোয়েন্দা বেলুন উড়ে যাওয়ার পর ফেব্রুয়ারি থেকে আলোচনা স্থগিত হয়ে আছে। পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যান ক্রিটেনব্রিংক সোমবার তার চীনা সমপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশ”যোগাযোগের পথগুলো খুলতে” রাজি হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মঙ্গলবার সংবাদদাতাদের বলেছেন, ”দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ও মতপার্থক্য মেটানোর” বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
এই আলোচানার আগে, সিআইএ পরিচালক উইলিয়ম বার্নস মে মাসে গোপন সফরে বেজিং গিয়েছিলেন বলে ২ জুন প্রথম জানায় ফিনান্সিয়াল টাইমস। এছাড়া, মে মাসের ১০ ও ১১ তারিখে ভিয়েনায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে, তার চীনা সমপক্ষ ওয়াং ওয়াইয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনে পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইভানস রিভেয়ার। তিনি বলেন,”স্বাভাবিক আলোচনার পথ পূনরুদ্ধার করতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ধীরে ও সতর্কভাবে এগোচ্ছে তথাকথিত ‘যোগসূত্র’ স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে; যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সম্ভাব্য সংঘাত ও সযত্ন অবহেলা থেকে রক্ষা করা যায়।”
ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি জানান,”দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সামলাতে একটা পথ বের করা ওয়াশিংটন ও বেজিং-এর জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা এমনভাবে করতে হবে, যাতে ভুল বোঝাবুঝি, ভুল ধারণা ও ভুল ও সংঘাতের দিকে পরিচালিত করে এমন কৌশলগত প্রতিযোগিতা রোধ করা যায়।”
এই দুই দেশের মধ্যে বহু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এক দেশ, আরেক দেশের দাবিকে তাদের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হিসেবে দেখে।
সূত্র : ভয়েজ অফ আমেরিকা
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.