11/14/2024 আবারো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প: সতর্ক অপেক্ষায় জাতিসংঘ
মুনা নিউজ ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩৮
প্রথমবার ক্ষমতায় এসে বিশ্বের বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘে বাৎসরিক চাঁদা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বোঝা- বলেছিলেন এমন কথাও। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার বিষয়টি জাতিসংঘসহ বিশ্ব রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং কার্যক্রম থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে গেলে তা চীনের জন্য নিজেকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থিত করার সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।
১৯৩টি দেশের জোট জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলছেন, ‘এক ধরনের উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা, তো আছেই।’ প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে জাতিসংঘের সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়েই হয়তো এমন কথা বলছনে তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন।জাতিসংঘে সবচেয়ে বেশি আর্থিক অবদান যুক্তরাষ্ট্রের। জাতিসংঘের মূল বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ২২ ভাগ আর শান্তিরক্ষী মিশনের খরচের ২৭ ভাগ প্রদান করে।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি খাতের এবং সহায়তা খাতের বাজেট এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে সর্বশেষ ক্ষমতায় এসেছিলেন ট্রাম্প। এরমধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের বাজেট ব্যপকমাত্রায় কমিয়ে আনা। যদিও এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ট্রাম্পকে চাপে রেখেছিল কংগ্রেস।
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ডাইরেক্টর রিচার্ড গোয়ান বলেন, জাতিসংঘ দপ্তর জানতো যে, ট্রাম্প আবার ফিরে আসতে পারে। আর তাই যুক্তারাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাজেট কমানোর পরিস্থিতি সামলাতে এক ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
আর তাই, আন্তনিও গুতেরেস (জাতিসংঘের মহাসচিব) ও তার দল অপ্রস্তুত নয়। তবে তারা জানেন যে, আগামী দিনগুলো খুব কঠিন হতে পারে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর জাতিসংঘ বিষয়ে তাদের নীতি কী হবে তা নিয়ে ট্রাম্পের দলের কেউ কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের খরচের একটি অন্যায্য ব্যয় বহন করছে। এ সময় তিনি এর সংস্কারেরও দাবি জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘে বকেয়ার পরিমাণ ছিল- মূল বাজেটে ছয়শ মিলিয়ন এবং শান্তিরক্ষী মিশনে দুই বিলিয়ন ডলার।
অবশ্য জো বাইডেন প্রশাসনও দেনার দায়ে আটেক আছে। এখন পর্যন্ত বাইডেনের প্রশাসনের দেনা, মূল বাজেটে ৯৯৫ মিলিয়ন ডলার এবং শান্তিরক্ষী মিশনে ৮৬২ মিলিয়ন ডরার।
গুতেরেসর মুখপাত্র স্টেফান ডয়ারিক বলেন, ‘কোনো নীতি নেওয়া হতে পারে বা না-ও হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। তবে সদস্যরাষ্ট্রেগুলোর সঙ্গে ওভাবেই কাজ করি, যা আমরা সবসময় করে আসছি।’
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.