11/09/2024 আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট
মুনা নিউজ ডেস্ক
৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০৯
ভারতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তার ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ফিরে পেতে যাচ্ছে। যদিও ১৯৬৭ সালে এক ঐতিহাসিক রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতে পারে না।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই রায় খারিজ করে দেন। সাত সদস্যের বেঞ্চ ৪: ৩ বিভাজনের রায় দেন। রায়ে বলা হয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দাবি করতেই পারে। তবে, ঐতিহ্যমণ্ডিত ওই বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু তকমা পাবে কিনা, সেটা ঠিক করবে অন্য একটি বেঞ্চ।
১৯৬৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা হারিয়েছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। সেসময় এস আজিজ বনাম কেন্দ্র সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করতে পারে না। তবে ১৯৮১ সালে তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে সেটিকে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু ২০১৬ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টে ইন্দিরা গান্ধীর সেই সংশোধনীকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেই মামলায় নিজের কর্মজীবনের শেষ দিনে ৪: ৩ বিভাজনের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মত নিয়ে রায়টি লিখেছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ওই রায়ে ১৯৬৭ সালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেওয়া হয়। ফলে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা দাবি করায় আর বাধা থাকল না। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন পৃথক তিন বিচারপতির নতুন বেঞ্চ। শিগগিরই সেই বেঞ্চ গঠন করা হবে।
শীর্ষ আদালতে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সংখ্যালঘু বিশ্ববিদ্যালয়’ তকমা না দেওয়ার পক্ষে জোরালো যুক্তি হাজির করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রের যুক্তি, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’–এর তকমা পেয়েছে। আর কোনো ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’ কোনোভাবেই নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের বা নির্দিষ্ট কোনো জাতির বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। এ ছাড়া ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল। তাই এটিকে শুধু সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.