11/22/2024 লাদাখ নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের বোঝাপড়া
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৫৮
এই প্রথম লাদাখ সীমান্তে প্রাণঘাতী সামরিক সংঘাতের চার বছর পর বৈঠক করলেন ভারত ও চীনের নেতা। গত ২৩ অক্টোবর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে তারা বৈঠকে বসেন।
২০২০ সালে লাদাখে ওই সহিংসতার পর একরকম তলানিতে ঠেকে দুই দেশের সম্পর্ক। ২৩ অক্টোবর মোদি এবং শি দুজনই এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের মধ্যে সংলাপ শুরুর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, লাদাখ থেকে সেনা সরানো নিয়ে কীভাবে বোঝাপড়া হলো চিরবৈরী দুই দেশের।
বিরোধ সমাধানে একদিন আগে শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ডাকে ভারত ও চীন। সংকটের মূল, দুই দেশের মধ্যে ৩,৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা সুনির্দিষ্ট করে চিহ্নিত না থাকা, যা বিরোধপূর্ণ সীমান্ত বলে পরিচিত। এর ফলে গত কয়েক দশক ধরে প্রায়ই ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমানা রেখা স্পষ্ট চিহ্নিত না থাকায় অনেক সময়ই মুখোমুখি হয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনারা। যার প্রভাব পড়েছে চীন-ভারত সম্পর্কে।
সীমানা নিয়ে বিরোধ থেকে ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। যেখানে চীনের কাছে পরাজিত হয় ভারত। তিব্বত দখল করার পর ভারতের বর্তমান অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনকে চীনের অন্তর্ভুক্ত এলাকা বলে দাবি করে বেইজিং।
তবে ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যকার হাতাহাতি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে সংঘাত। সেই সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা এবং ৪ চীনা সেনা নিহত হয়। ওই বছরের শেষদিকে দুই দেশ বিরোধপূর্ণ সীমান্তের কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং উত্তেজনা প্রশমনের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তেজনাকরই থেকে যায়।
পরে ২০২১ সালে উত্তরের সিকিম এবং ২০২২ সালে সীমান্তের তাওয়াং সেক্টরে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সামরিক অচলাবস্থার কারণে ভারত ও চীনের মধ্যকার ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানা যায়। ব্লুমবার্গসহ কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে, চীনের ওপর থেকে কড়াকড়ি শিথিলে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করেছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। কারণ, এই কড়াকড়ির ফলে ভারতের উৎপাদন খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।
গেল সোমবারের আলোচনায় ‘টহলদারির সীমানা’ নির্ধারণ নিয়ে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন টহলস্থলে চীনের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার কথা জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারও সম্পন্ন হলো।
যদিও চুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি চীনা পররাষ্ট্র দপ্তর। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান কেবল জানান, ভারতের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে কাজ করে যাবে চীন।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.