11/25/2024 সুদানে ফোনের আলোয় শিশুর জন্ম
মুনা নিউজ ডেস্ক
৯ জুন ২০২৩ ০৭:৫৩
সুদান জুড়ে চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। পানি ও বিদ্যুতের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। রাজধানীর বেশ কিছু হাসপাতালে রক্তসংকট দেখা দিয়েছে। অল্প যে কয়েকটি হাসপাতাল চালু রয়েছে, সেগুলোতেও প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না।
ফলে শিশু জন্মদানের সময় মা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা মুখোমুখি হতে হয়।
এপ্রিলে সুদানের রাজধানী খার্তুমে সংঘাত শুরুর পরে যে কয়জন অল্প সংখ্যক চিকিৎসক এখনও সেবা দেওয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তারমধ্যে একজন ডা. হাসান।
দেশটির প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ হোয়াইদা আহমেদ আল-হাসসান বলেন, সিজারিয়ান অপারেশনে শিশু জন্ম দিতে আমরা মোবাইল ফোনের আলোর ওপর নির্ভর করছি।
বিবিসির কাছে তিনি ওই অপারেশনের ভিডিওটি পাঠিয়েছেন। যেখানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তাদের সেবাদান পরিচালনার এক দৃশ্য উঠে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গ্লাভস হাতে তিনি এক প্রসূতি মায়ের সিজার করার সময় তার পাশে উপস্থিত থাকা নার্সেরা মোবাইলের টর্চ দিয়ে অপারেশন থিয়েটার আলোকিত করার চেষ্টা করছেন।
এ সম্পর্কে আরেক চিকিৎসক হোয়াইদা বলেন, অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা দিনের পর দিন হাসপাতালে অবস্থান করছি। সময় সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। কখন দিন, কখন রাত, আমরা সেটাও জানি না।
হাসপাতালটিতে কর্মীর সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশনের সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এমনকি হাসপাতালটিতে জেনারেটর চালানোর মতোও জ্বালানিও নেই।
চিকিৎসক হোয়াইদা বলেন, "আমরা প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচার করছি। আমাদের পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও নেই। অ্যানেস্থেসিয়া কনসালট্যান্ট এবং বিশেষজ্ঞদের ছাড়াই আমরা এ কাজটি করছি। এমনকি সিজারে বাচ্চা জন্মের মাত্র ১০ ঘণ্টা পর আমরা তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি।"
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সংঘাত শুরুর আগে থেকেই সুদানে মাতৃমৃত্যুর হার বিশ্বে সর্বাধিক ছিল। এমতাবস্থায় চিকিৎসক কামাল সতর্ক করেন যে, চলমান সংঘাত সুদানের গর্ভবতী নারীদের জন্য অত্যধিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.