11/23/2024 জাতিসংঘ নিজের কর্মীদেরই রক্ষা করতে পারে না, অন্যদের কীভাবে করবে : এরদোয়ান
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৫৭
জাতিসংঘ যেখানে নিজেদের কর্মীদের রক্ষা করতে পারছে না সেখানে কিভাবে তারা অন্যদের অধিকার রক্ষা করবে? সম্প্রতি লেবাননে জাতিসংঘকর্মীদের ওপর ইসরায়েলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এ মন্তব্য করেন।
১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত ‘বৈশ্বিক কূটনীতি ও ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা বিব্রতকর অবস্থায় বসে বসে প্রত্যক্ষ করছি, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কিভাবে পুরোপুরি শক্তিহীন হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আর কতদিন ধরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের এই অঞ্চলকে রক্তের সাগরে পরিণত হতে দেখবে? তারা আর কতদিন গাজার বেসামরিক মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে দেখবে? আমরা প্রত্যক্ষ করছি গাজায় নিহত নিষ্পাপ শিশুদের অধিকারের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংস্থা এবং বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থাগুলো কিভাবে তিনটি বানরের (না দেখার, না শোনার, না বলার) ভূমিকা পালন করে আসছে।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ইসরায়েল ৭৬ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে দখলদারিত্ব, ধ্বংস ও মৃত্যুদণ্ডের নীতি অব্যাহত রেখেছে। যদি এই ইসরায়েলকে থামানো না হয়, তাহলে তাদের এই সম্প্রসারণবাদ পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে বিমান হামলা চালাতে শুরু করেছে। কয়েকদিন পর থেকে সেখানে তারা স্থল হামলাও শুরু করে। এ হামলায় সেখানে কমপক্ষে এক হাজার ৫৪২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সাড়ে চার হাজারের বেশি। একই সময়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে সাড়ে ১৩ লাখ লেবাননী নাগরিক।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা চালাতে শুরু করে। স্থল ও বিমান হামলায় পুরো গাজা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে মারা গেছে ৪২ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের পরিমাণ লাখ ছাড়িয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েল সেখানে যুদ্ধ বন্ধের কোনো আলোচনা করতে নারাজ।
সূত্র: আনাদোলু
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.