11/22/2024 কমলার কানের দুলে ছিল ইয়ারফোন, অভিযোগ ট্রাম্প সমর্থকদের
মুনা নিউজ ডেস্ক
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৮
আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোটারদের মনজয় করার জন্য এখনও আপ্রাণ চেষ্টায় আছেন দুই পার্টির প্রার্থীরা। এরমধ্যে মঙ্গলবার রাতে প্রথমবারের মত সরাসরি বিতর্কের মুখোমুখি হলেন কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৯০ মিনিটের ওই বিতর্কের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কমালার অগ্নিঝরা বিতর্কে বেশ উচ্ছ্বাসিত ডেমোক্র্যাট শিবির। তবে ট্রাম্প সমর্থকরাও কম যান না। তারা সামাজিক মাধ্যমে কমলাকে নিয়ে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর বিষয় নিয়ে সামনে হাজির করছেন।
মঙ্গলবার ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে বিতর্কের পর অনেক এক্স ব্যবহারকারী কমালার কানের দুলের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। তাদের সন্দেহ কমালা কানে যে দুল পড়েছিল তা ইয়ারফোন হতে পারে। তারা বলতে চাইছে বিতর্কের সময় সহায়তা পেতেই কানের দুল সদৃশ ইয়ারফোন ব্যবহার করেছিল কমালা।
কমালার কানে যে দুল ছিল তা দেখতে অনেকটা নোভো এইচ-১ অডিও কানের দুলের মতো বলে কমালার সমালোচকদের ধারণা।
এইচ-১ ওয়্যারলেস ইয়ারফোন হিসেবে কাজ করে। এই ইয়ারফোন এমনভাবে ডিজাইন করা যা দেখলে মনে হবে কানের দুল। এক্সের এক ব্যবহারকারী তার টাইমলাইনে লিখেছেন, কমালা হ্যারিস এবিসি আয়োজিত প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্পকে পরাজিত করতে কানের দুল সদৃশ এয়ারফোন ব্যবহার করেছেন।
তার এই পোস্টে আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, আমি মনে করি কমলা আজ রাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কে একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন, যিনি নিজেকে একজন দুর্দান্ত বক্তা এবং বিতার্কিক মনে করেন। কিন্তু তার কানের দুল আমাকে অনেক আগ্রহী করেছিল। হয়ত কানের দুলের মতো দেখতে ইয়ারফোন তাকে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।
এদিকে অন্য আরেক ব্যক্তি ওই পোস্টের মন্তব্য ঘরে লিখেছেন, কমলা যে কানের দুল পরেছেন তা টিফানি হার্ডওয়্যার মুক্তার দুল হতে পারে। সূক্ষ্ম ডিজাইনের পার্থক্যগুলো নির্দেশ করে যে এটি নোভা এইচ -১ ইয়ারফোন থেকে আলাদা। আরেক এক্স ব্যবহারকারী টিফানি কানের দুলের একটি ছবি শেয়ার করেছেন যা কমালার কানের দুলের সঙ্গে মিল রয়েছে।
কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রায়ই আলফা কাপা বা আলফা সরোরিটির মুক্তার কানের দুল পরেন। বিভিন্ন পাবলিক ইভেন্টে তার অনুরূপ মুক্তার কানের দুল পরা ছবি থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন সত্ত্বেও কমলা হ্যারিস বিতর্কের সময় সহায়তা পেতে ইয়ারফোন ব্যবহার করেছিলেন এমন কোনো প্রমাণ নেই।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.