11/22/2024 জিম্মিদের ‘কফিনে করে’ ইসরায়েলে ফিরতে হবে, হুঁশিয়ারি হামাসের
মুনা নিউজ ডেস্ক
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৫
ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ গাজা থেকে বাকি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি নিশ্চিত করার দাবিতে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর, রবিবার ইসরায়েলের তেল আবিবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। জনতার দাবি, যত দ্রুত সম্ভব একটি চুক্তির মাধ্যমে সকল জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সামরিক চাপ যদি অব্যাহত থাকে, তবে জিম্মিদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। জিম্মিদের ‘কফিনে করে’ ইসরায়েলে ফিরতে হতে পারে।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে আবু উবায়দা বলেন, ‘একটি চুক্তি সইয়ের পরিবর্তে জোর করে জিম্মিদের মুক্ত করার চেষ্টা করলে, নেতানিয়াহুর জন্য পরিণতি হবে করুণ। জিম্মিরা কফিনে করে পরিবারের কাছে ফিরবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিম্মিদের পরিবারগুলোকে দুটি পথ বেছে নিতে হবে: হয় তারা জীবিত অবস্থায় ফিরবেন, নয়তো মৃত।’ রাফা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর এ সতর্কতা জারি করা হলো।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়ার কারণে যেকোনো পরিণতির জন্য নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দায়ী থাকবে।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উজ্জাত আল-রিশেক ছয় জিম্মির মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। তার মতে, তারা ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিযোগ করেছেন, হামাসের হাত থেকে জিম্মিদের মুক্ত করতে ও যুদ্ধবিরতি আনতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেননি। যদিও এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা 'চূড়ান্ত' করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আমেরিকান কর্মকর্তারা এ প্রস্তাবনাকে 'গ্রহণ করুন বা ছেড়ে যান চুক্তি' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
গতকাল জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আরও ছিলেন গাজা নিয়ে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়া আমেরিকান আলোচকেরা। তাদের আলোচনায় কাতার ও মিসরের চলমান শান্তি প্রক্রিয়াও গুরুত্ব পায়।
এর আগে গত শনিবার গাজা উপত্যকা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি-আমেরিকানও ছিলেন। এই ঘটনা ইসরায়েলজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.