11/22/2024 শেখ হাসিনাকে উৎখাতে আমেরিকার ভূমিকা নেই : হোয়াইট হাউস
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৩ আগস্ট ২০২৪ ০৬:০৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। ১২ আগস্ট, সোমবার প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর হোয়াইট হাউজের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিষ্কার জানায়, আমেরিকান হস্তক্ষেপের অভিযোগ পুরোপুরিই মিথ্যা।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরের কাছে শেখ হাসিনার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের মোটেই কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা থাকার যেসব দাবি উঠেছে, তা নিছকই মিথ্যা।
কারিন জিন-পিয়েরে আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে একমাত্র বাংলাদেশি জনগণেরই উচিত তাদের সরকারের ভবিষ্যত নির্ধারণ করা ও আমরা সেটাই চাই।
১১ আগস্ট, রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে, কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে কতৃত্ব কায়েম করতে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করে, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে এই বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
তবে ওই রাতেই শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেয়া পোস্টে দাবি করেন, তার মা কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেয়নি। তাছাড়া দেশ ছাড়ার আগে কিংবা পরে শেখ হাসিনা কোনো ধরনের বিবৃতিও দেয়নি।
ছাত্র–জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলেই জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ৮ আগস্ট, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে আছেন ১৭ জন উপদেষ্টা।
সূত্র: রয়টার্স।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.