11/22/2024 ভূমধ্যসাগর থেকে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে মানবিক সংস্থা
মুনা নিউজ ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০২৪ ১০:৪২
গত কয়েকদিনে নৌকা দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে চেষ্টা করা অন্তত ১১৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে মানবিক সংস্থাগুলো।
গত ৭ আগস্ট ৭৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইতালির উত্তর-পূর্বের রাভেনা বন্দরে নামিয়ে দিয়েছে দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) পরিচালিত জাহাজ জিও ব্যারেন্টস। গত ৩ আগস্ট দুটি পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথগুলোর মধ্যে একটি হলো কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুট। উদ্ধারস্থল থেকে রাভেনার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল এমএসএফ। সোশ্যাল মিডয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এক পোস্টে তারা এটিকে ‘জোর করে চার দিনের নেভিগেশন’ বলে উল্লেখ করেছে।
২০২৩ সালে একটি ডিক্রি জারি করেছিল ইতালির পার্লামেন্ট। জর্জিয়া মেলোনি সরকারের এই আইন অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরে কোনো উদ্ধার অভিযান শেষ হলে ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত বন্দরে চলে যেতে হবে উদ্ধারকারী নৌযানকে৷ এনজিওগুলোর অভিযোগ, এর ফলে সমুদ্রে আরও অনেক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
জাহাজের জন্য নির্ধারিত বন্দরগুলো প্রায়ই উদ্ধারস্থল থেকে অনেকটা দূরে থাকে। তাই সেখানে পৌঁছাতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়। ইতালি সরকারের দাবি, সিসিলির অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলো এবং লাম্পেদুসার মতো ছোট দ্বীপগুলোতে যেন ভিড় উপচে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য এই নিয়ম করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রেসকিউ-শিপ পরিচালিত উদ্ধারকারী নৌযান নাদির গত ৭ আগস্ট ৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। কিন্তু এরপর থেকেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে সমুদ্রে টানা দুই দিন ‘উদ্দেশ্যহীনভাবে ভেসে বেড়াচ্ছিল’ নৌযানটি। অ্যালার্ম ফোন সংস্থার সতর্কতা জারির ফলে বিপদগ্রস্ত নৌকাটির সন্ধান মিলেছিল বলে জানিয়েছে রেসকিউ-শিপ।
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার ৭৬২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী সমুদ্রপথে ইতালি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে আগস্টের শুরু থেকে মানুষ ইতালিতে পৌঁছেছেন এক হাজারের বেশি। জাতীয়তার ভিত্তিতে এই তালিকায় সবার আগে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। এরপর রয়েছেন সিরিয়া, তিউনিশিয়া এবং মিশরের নাগরিকরা।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.