11/22/2024 বাংলাদেশ নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় মমতা
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৭ জুলাই ২০২৪ ০৯:২৩
গত ২১ জুলাই এক সভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলতে পারি না, যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনো অসহায় মানুষ যদি পশ্চিমবঙ্গের দরজায় কড়া নাড়ে, তাহলে আমি নিশ্চয় তাদের আশ্রয় দেবো। কারণ, জাতিসংঘের নিয়ম রয়েছে, অস্থিরতার কারণে কেউ উদ্বাস্তু হলে পাশের এলাকা তাকে আশ্রয় দেবে।’
তবে মমতার ওই মন্তব্যকে সহজভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ ও উষ্ণ সম্পর্ক৷ তার প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, এই মন্তব্যে নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায় বাংলাদেশ।
এত কিছুর পরেও বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় থাকলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন, জেনেই বলেছেন। মমতার দাবি, তার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করেছে বিজেপি। তিনি নিজের মন্তব্য থেকে কোনোভাবেই পিছু হটছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যা বলেছি ঠিক বলেছি, আমাকে যেন শেখাতে না আসে।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘আমি সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য করবো না। কিন্তু আমি যেটা বলেছি, তা হলো, কেউ যদি আশ্রয় চাইতে আমার সীমান্তে আসে, আমি অবশ্যই সাহায্য করবো। শরণার্থীদের বিষয়ে জাতিসংঘের নির্দেশিকা মেনেই রাজ্য সরকার যা করার করবে। আমাদের বহু মানুষ বাংলাদেশে কাজ করছেন। তাদের পাসপোর্ট-ভিসা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ পশ্চিমবঙ্গে আসেন, পড়াশোনা করতে, চিকিৎসা করাতে। আমি সেই জায়গা থেকেই বলেছি, সমস্যায় পড়ে কেউ আমাদের কাছে সাহায্য চাইতে এলে আমরা পাশে থাকবো। এটি সোজা কথা, এর পেছনে অন্য কোনো অর্থ নেই।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুই হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। তারা আমাদের সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমরা সাহায্য করে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। আবার বাংলাদেশের অনেক মানুষও এখন এ রাজ্যে রয়েছেন চিকিৎসার জন্য। তারাও তো ফিরতে চান তাদের দেশে। আমি কি তাদের না বলবো? তাদেরও পাসপোর্ট-ভিসা সব রয়েছে।
তার মন্তব্য ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি কি না প্রশ্ন করা হলে মমতা স্পষ্ট বলেন, ‘আমি সাতবার সংসদ সদস্য ছিলাম, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। অন্য যে কারও চেয়ে পররাষ্ট্রনীতি ভালো জানি। আমাকে এসব শেখাতে হবে না।’
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.