11/23/2024 ঈদে অবিক্রীত রয়ে গেলো সাড়ে ২৩ লাখ গবাদিপশু
মুনা নিউজডেস্ক
১৭ জুন ২০২৪ ১৪:৫৬
পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদিপশু বিক্রি হয়। যা গত বছরের চেয়ে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮টি বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এবার পশুর মোট মজুদ ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। সে হিসেবে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু অবিক্রিত থেকে গেছে।
সোমবার (১৭ জুন) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে। চলতি বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার আর রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কুরবানি ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।
এবার কুরবানির হাটে চাহিদার শীর্ষে ছিল ছোট ও মাঝারি মানের গরু। খামারিরা ভাষ্য, যারা গরু বিক্রি করতে পারেননি, উল্টো ঢাকায় এসে বাড়তি কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে তাদের। এখন গরু পালন করতেই হিমশিম খেতে হবে। কারণ আগের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করলে নতুন ঋণও পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে গো-খাদ্যের দাম চড়া।
এতে করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। বিশেষ করে যারা বড় গরু বাজারে এনেছিল তাদের অধিকাংশই অবিক্রীত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে তারা। চড়া দামের খাবার খাইয়ে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খামার করেছেন, তাদের অনেকের অবস্থাও করুণ। খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোই এখন তাদের জন্য কঠিন হবে। ভারত-মিয়ানমার থেকে এবার অবৈধ পথে গরু আসায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, কুরবানি ঈদ সামনে রেখে একটু লাভের আশায় দেশের সব খামারি ও কৃষক সারা বছর ধরে পশু লালন-পালন করেন। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি পড়েছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু আসার কারণে।
সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা মূলত ছোট গরু উৎপাদন করেন। আমাদের দেশে যে পরিমাণ গরুর চাহিদা, তার ৪৫ শতাংশ প্রয়োজন হয় কুরবানির ঈদে। বাকি গরু সারা বছর বিক্রি হয়। সারা বছর মাংসের দোকানে ছোট ছোট গরু জবাই করা হয়। এগুলো কখনোই বড় বড় খামার থেকে যায় না। বড় খামারিদের খরচ অনেক বেশি। ফলে ছোট গরু বড় প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে না। প্রান্তিক খামারি নিজের ঘরেই গরু লালন-পালন করেন। তার তেমন কোনো খরচ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা বড় গরু বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছি। বাংলাদেশে যে পরিমাণ পশু কুরবানি হয়, তার মধ্যে ৯৮ শতাংশ ছোট গরু। ছোট গরুর মূল উৎপাদক প্রান্তিক খামারি। ফলে প্রান্তিক চাষিদের নিয়ন্ত্রণেই আছে এ খাত। দেশি গরুর চাহিদা অনেক বেশি, যা করপোরেট প্রতিষ্ঠান পূরণ করতে পারে না। তাই এবার ঈদে আমাদের মতো করপোরেট প্রতিষ্ঠান বড় লোকসানে পড়েছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.