যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিশ্বজুড়ে দেশটির কূটনীতিকরা উচ্চ শ্রম মান নিশ্চিত করতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে শ্রমিকদের কণ্ঠস্বর পৌঁছাতে এবং জোরপূর্বক শ্রম ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার অস্বীকারসহ অন্যায্য শ্রম অনুশীলনের বিরুদ্ধে নিয়ম প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা করে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ অবস্থাগুলো দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

বুধবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে, শিশুদের অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বা অপরাধমূলক শোষণের শিকার করা উচিৎ নয়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১১ শতাংশ শিশু এমন কাজে জড়িত যা তাদের স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য বিপজ্জনক, তাদের শিক্ষায় হস্তক্ষেপ করে, অনেক বেশি ঘণ্টা বা খুব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়।

মিলার বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর। বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলো শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ অবস্থাগুলো এবং শিশুশ্রম বা জোরপূর্বক শ্রম থেকে উৎপাদিত পণ্যগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। সেইসাথে অন্য দেশও এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে।’

তিনি আরো বলেন, শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার অবসান ঘটাতে প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের ক্ষমতায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

এর মধ্যে রয়েছে এই লড়াইয়ে সমস্ত মূল অংশীদার সরকার, শ্রমিক, নিয়োগকর্তা ও শ্রম সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত হওয়া। বিশ্বব্যাপী শ্রমিক ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং উচ্চ শ্রম মানদণ্ডের অগ্রগতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্মারকলিপি দেশে ও বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য মার্কিন নীতিকে শক্তিশালী করে।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আসুন আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী কাজ করি, শিশুশ্রম বন্ধ করি!’

এ বছর বিশ্ব দিবসটি ‘ওরস্ট ফর্মস অব চিলড্রেন লেবার কনভেনশন’ গ্রহণের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এটি শিশুশ্রম সম্পর্কিত দু’টি মৌলিক কনভেনশনের বাস্তবায়ন উন্নত করার জন্য সব অংশীদারদের স্মরণ করিয়ে দেয়ার একটি সুযোগও উপস্থাপন করে।