11/23/2024 বাংলাদেশে ওষুধের বাজারে প্রমোশনেই ব্যয় ১০ হাজার কোটি
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৫ মে ২০২৪ ১১:১৪
বাংলাদেশে ওষুধের আগ্রাসী বাণিজ্য বন্ধে ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম লেখার বিষয়ের মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সে ক্ষেত্রে ওষুধের গুণগত মান বায়ো ইকুইভ্যালেন্স স্টাডি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম ও আগ্রাসী বাণিজ্য বিষয়ক এক সেমিনারে এ দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, ওষুধের নামকরণের ক্ষেত্রে সাধারণত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এগুলো হলো: রাসায়নিক নাম; জেনেরিক বা অ–মালিকানামূলক নাম এবং ট্রেড নাম যা ব্র্যান্ড নাম।
সেমিনারে জানানো হয়—দেশে ওষুধের মোট বাজার ৪০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রমোশনে খরচ হয় ১০ হাজার কোটি টাকা। এ জন্য ব্যবস্থাপত্রে কোম্পানির নাম না লিখে, জেনেরিক নাম লিখলে দাম অনেক কমে আসবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র লিখছেন ঠিকই কিন্তু ওষুধ সরবরাহ করছেন অষ্টম-দশম পাস একজন দোকানি। তারা তাদের সুবিধামতো অর্থাৎ যে ওষুধগুলোতে লাভ বেশি, সেগুলো সরবরাহ করছে। এ জন্য ওষুধের গুণগতমান ঠিক রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ বিশেষজ্ঞরা।
মতবিনিময় সভায় এবং আলোচকেরা ওষুধ খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, গ্রামগঞ্জে অসংখ্য প্যারামেডিক্স ওষুধ লিখছেন। সেখানে নজরদারি বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের জনবল উল্টো দিকে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট ছাড়াও ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব দিতে হবে। রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্টরা যাতে ফার্মেসিতে কাজ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট এই কর্মশালার আয়োজন করে। সেখানে ওষুধ খাতের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.