11/24/2024 যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন অ্যাসাঞ্জ
মুনা নিউজ ডেস্ক
২১ মে ২০২৪ ০৪:১০
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ আমেরিকায় হস্তান্তরের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে রায় দিয়েছেন লন্ডনের হাইকোর্ট। ২০ মে, সোমবার হাইকোর্টের দুই বিচারপতি এ রায় দেন। ২১, মে মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক গোপনীয়তা ফাঁস করার মামলায় অ্যাসাঞ্জকে বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ বলেছিলেন, আদালত যে রায় দেন না কেন, তিনি ‘জুলিয়ান মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন’।
২০১০ সালে আমেরিকান সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে হ্যাকিং করে আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা প্রকাশ করে দেয়ার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযুক্ত করেছে।
২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন দেশের সরকারের গোপন থাকা তথ্য প্রকাশের প্রচেষ্টা নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এর ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে উইকিলিকস ইরাক ও আফগানিস্তানে আমেরিকান নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিভিন্ন বিপুল গোপন তথ্য হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে তা প্রকাশ করেন। ওই সময় ইরাকে আমেরিকান অ্যাপাচি হেলিকপ্টার থেকে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকসহ ডজনখানেক নিরস্ত্র সাধারণ ইরাকির ওপর গুলি করে হত্যার ৩৯ মিনিটের এক ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে উইকিলিকস বিপুল পরিচিতি পায়।
২০১০ সালে সুইডেনের দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অ্যাসাঞ্জ প্রথম আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হন। ওই সময়ে সুইডেন ধর্ষণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্রিটেনের কাছে অ্যাসাঞ্জকে পাঠানোর জন্য আবেদন করে।
২০১২ সালে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুইডেনে যাওয়া এড়াতে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডোরিয়ান দূতাবাসে আশ্রয় নেন। ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় বন্দী অবস্থায় তিনি দূতাবাসে কাটান।
২০১৯ সালে ইকুয়েরডর সরকার অ্যাসাঞ্জকে দেয়া আশ্রয় প্রত্যাহার করে নিলে ব্রিটেনে দেশটির দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ।
সূত্র : আল-জাজিরা
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.