11/22/2024 ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও লাভার কাদায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৪ মে ২০২৪ ০৪:১৪
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। এখনও নিখোঁজ অন্তত ১৭ জন। ১৩ মে, সোমবার কর্তৃপক্ষ জানায়, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে লাভা গলে সৃষ্ট কাদায় আটকে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
প্রাদেশিক উদ্ধার দলের প্রধান আব্দুল মালিক জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে প্রদেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস। এছাড়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যৎপাতের কারণে ঠান্ডা লাভার প্রবাহে বিভিন্ন স্থানে পুরু কাদার স্তর পড়েছে। লাভার ছাই, নুড়ি ও পাথরকণা মিলে এ কাদা তৈরি হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় এই ঠান্ডা লাভার প্রবাহ লাহার নামে পরিচিত। সুমাত্রা দ্বীপের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাইন্ট মারাপিতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে লাভা নির্গত হয়েছে।
আব্দুল মালিক বলেন, ভারী বৃষ্টি মারাপির লাভার ছাই ও নুড়িপাথরকে লাহার বানিয়েছে।
ডিসেম্বরে মারাপি থেকে হঠাৎ করে অগ্ন্যুৎপাত হতে থাকে। ওই সময় অগ্ন্যুৎপাতের কারণে অন্তত ২০ জন মারা যায়। এরপর থেকে ওই আগ্নেয়গিরি থেকে মাঝে মাঝেই লাভা নির্গত হচ্ছে।
আব্দুল মালিক আরও বলেছেন, ঠান্ডা লাভা ও আকস্মিক বন্যা সম্প্রতি আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটি সবসময়ই গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘটে।
পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব বলেছেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগাম ও তানাহ দাতার জেলা। এই দুই জেলায় অন্তত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। ভেসে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। বৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত নদীতে পরিণত হয়েছে। ভেসে গেছে বহু যানবাহনও।
তিনি বলেন, পুলিশ, সেনা ও স্থানীয় উদ্ধার দলের অন্তত ৪০০ জন উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। উদ্ধার অভিযানে আটটি খননকারী যন্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে রাস্তাগুলোতে কাদার স্তর পরায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
আগ্নেয়গিরির কারণে বর্ষাকালে বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.