প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাফাহে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েও ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে পারবে না। এমনটাই বিশ্বাস করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি এ কথা জানান। 

শুরু থেকেই গাজার রাফাহে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সেই বিরোধিতাকে তোয়াক্কা না করে সেখানে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, হামাসকে নির্মূল করতে হলে রাফাহে অভিযান চালানো জরুরি। তবে এ হামলা চালিয়ে ইসরায়েল কখনোই হামাসকে হারাতে পারবে না বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাত মাসের এই ব্যবধানে নিহত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার। ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজা, মধ্য গাজাসহ অঞ্চলটির বেশির ভাগ এলাকায় অভিযান চালালেও ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফাহ এর বাইরে ছিল। 

জন কিরবি বলেন, ‘ইসরায়েল জোরালোভাবেই হামাসকে চাপের মুখে ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং সেটাই যথেষ্ট ছিল। নতুন করে রাফাহে আগ্রাসন কেবল বেসামরিকদের ঝুঁকিই বাড়াবে; এর বেশি কিছু না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাফাহ আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সাহায্য করছে না। তবে তার মানে এই না যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে নেই বা হামাসের নির্মূল চায় না। আমরা এখনো ইসরায়েলকে নিয়ে আশাবাদী। আমরা কেবল রাফাহ আগ্রাসনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছি।’

এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিসরের রাজধানী কায়রোতে চলমান আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। তাই গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার আলোও নিভে গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কায়রোতে পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ ও গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।