11/24/2024 এক দশকের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশে
মুনা নিউজ ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৩২
বাংলাদেশের বিগত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার। এদিন দেশটির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেছেন, ‘মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বাংলাদেশের বিগত ১০ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড (সর্বোচ্চ)।’ তিনি জানিয়েছেন, এটি বিগত ৩৫ বছরের মধ্যে যশোরেরও রেকর্ড। ১৯৮৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ছিল।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আরও জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জেলাটির গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই বিবেচনায় মঙ্গলবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা দেশের বিগত এক দশকের রেকর্ড।
বাংলাদেশে ৩৫ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ২১ এপ্রিল। সেদিন বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর চুয়াডাঙ্গায় ১৯৯৫ সালের গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা বাড়লেও রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে রাজধানীর তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চলতি বছরের মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বাংলাদেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশটির ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
টানা তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টি কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.