11/23/2024 বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আইএটিএর
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:১৪
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংগঠন (আইএটিএ)। ২৪ এপ্রিল বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে আইএটিএভুক্ত বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছে সংস্থাটি। দেশটির কাছে সংস্থাভুক্ত বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাওনা।
বিবৃতিতে অডিট ও আয়কর বাদ দেওয়াসহ নানা জটিল প্রক্রিয়ার প্রেক্ষিতে একে সহজতর করার আহ্বান জানিয়েছে আইএটিএ, যেন প্রক্রিয়ায় অপ্রয়োজনীয় কোনো বিলম্ব না ঘটে। পাওনা পরিশোধের তাগিদ দিয়ে সংগঠনটি বলছে, আকাশপথে যোগাযোগ কমিয়ে সীমিত করার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিবৃতিতে সংগঠনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বাজারে বিমান সংস্থাগুলোর পাওনা আছে ৭২ কোটি ডলার। এই অর্থ না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
পাশাপাশি লিজ চুক্তি, খুচরা যন্ত্রাংশ, ওভারফ্লাইট ফি এবং জ্বালানির মতো ডলারনির্ভর খরচ মেটানোর জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে এই পাওনা সময়মতো পরিশোধ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে আইএটিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ।
তিনি বলেন, এই পাওনা পরিশোধে বিলম্ব দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন এবং তাতে বিমান সংস্থার জন্য ঝুঁকির হার বৃদ্ধি করে।
গত বছরও আইএটিএ বিবৃতির মাধ্যমে পাওনা অর্থ পরিশোধের তাগিদ দিয়েছিল। তখন সংগঠনটির তরফে জানানো হয়, উড়োজাহাজ শিল্পে তাদের আটকে থাকা অর্থের ৬৮ শতাংশ আটকে আছে পাঁচটি দেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। ওই সময় শীর্ষে থাকা নাইজেরিয়ায় ৮১২.২ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশে ২১৪.১ মিলিয়ন ডলার, আলজেরিয়ায় ১৯৬.৩ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানে ১৮৮.২ মিলিয়ন ডলার এবং লেবাননে ১৪১.২ মিলিয়ন ডলার আটকে ছিল বলে আইএটিএ জানিয়েছিল।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.