11/22/2024 ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের কারনে সরানো হলো ১১ হাজারের বেশি মানুষ
মুনা ডেস্ক নিউজ
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫১
ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১১ হাজারের বেশি অধিবাসীকে। সে সঙ্গে, বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান চলাচল।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশে অবস্থিত মাউন্ট রুয়াংয়ে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত হয়। এতে আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া ও ছাই। এরপর বুধবার আগ্নেয়গিরিটিতে আরও চারবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি বিষয়ক সংস্থা ৭২৫ মিটার (২,৩৭৯ ফুট) উচ্চতার পর্বতের জন্য চার মাত্রার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের চারপাশের এলাকা জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ এলাকার পরিমাণ চার কিলোমিটার থেকে ছয় কিলোমিটারের বাড়ানো হয়েছে।
প্রাদেশিক রাজধানী মানাডো থেকে ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তরে অবস্থিত রুয়াং থেকে নিকটবর্তী তাগুলান্দাং দ্বীপে প্রাথমিকভাবে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো দরকার। তাদের মানাডোতে পাঠানো হবে বলেও জানান তারা।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার তথ্য, যোগাযোগ ও তথ্য কেন্দ্রের প্রধান আবদুল মুহারিকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদপত্র কমপাস জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা কমপক্ষে ১১ হাজার ৬১৫ জন বাসিন্দাকে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে।
কর্মকর্তাদের আরও আশঙ্কা রয়েছে যে, আগ্নেয়গিরির একটি অংশ ভেঙে সমুদ্রে পড়ে সুনামি সৃষ্টি করতে পারে। ১৮৭১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় এ রকম এক ঘটনা ঘটেছিল।
ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়গিরির নিচে লাল লাভার স্রোত এবং রুয়াংয়ের জ্বালামুখের ওপর ধূসর ছাইয়ের মেঘের স্রোত দেখা গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ এর আগে বলেছিলেন যে, রুয়াংয়ের প্রাথমিক অগ্ন্যুৎপাতের কারণে দুই কিলোমিটার (১ দশমিক ২ মাইল) উঁচু ধোঁয়ার স্তম্ভ সৃষ্টি করেছিল। দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাতে ধোঁয়া প্রায় আড়াই কিলোমিটার উঁচুতে ওঠে।
ইন্দোনেশিয়ার বিমান কর্তৃপক্ষ অন্তত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মানাডোতে স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পর্বতের কিছু অংশ সাগরে পড়ার পর সুমাত্রা এবং জাভা উপকূলে সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.