11/22/2024 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতার ভবিষ্যতের জন্য হুমকি
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৮ মে ২০২৩ ০৯:৩৪
ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট সর্বকালের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ্লিকেশন হয়ে উঠেছে। তাই দৈনন্দিন জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক একীভূতকরণ এই প্রযুক্তিকে জনসাধারণের আলোচনার অগ্রভাগে নিয়ে এসেছে। চ্যাটজিপিটির মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
চ্যাটজিপিটি-এর প্রধান সংস্থা ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান মঙ্গলবার (১৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটির সামনে নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও এর ত্রুটিগুলো সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি এই প্রযুক্তির সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে বলেন।
চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য অনুরূপ প্রোগ্রামগুলো অবিশ্বাস্যভাবে মানুষের মতোই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর তৈরি করতে পারে। তবে এটি অনেক ভুল তথ্যও দিতে পারে।
এআই এর ফলে নৈতিকতা বিষয়ক যেসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে সেগুলোর সমাধান বের করতে পিছপা হননি তিনি এবং এ কারণে তাকে এই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে অনেক চাপের মুখেও পড়তে হয়।
সেইসঙ্গে এআই প্রযুক্তি যে মানুষের চাকরির জায়গা দখল করতে পারে ও এর প্রভাবে যে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে জনবল ছাঁটাই হতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন।
সিনেটর কোরি বুকার বলেন, এই দৈত্যকে বোতলে পুরে রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাপী এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে সিনেট প্যানেলের শুনানিতে অনেক আইনপ্রণেতার মধ্যে এই সিনেটরের প্রশ্ন ছিল, কীভাবে আইনের মাধ্যমে এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বিষয়টি নিয়ে আইনপ্রণেতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা কোম্পানিগুলোও উদ্বিগ্ন।
অল্টম্যান আইন-প্রণেতাদের বলেছেন তিনি গণতন্ত্রের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। নির্বাচনের সময় কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ভুল তথ্য পাঠাতে এআই কীভাবে ব্যবহার হতে পারে সে কথাও তিনি তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন সংস্থা এই শিল্পকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে ব্যাপারে তিনি বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে এআই কোম্পানিগুলোকে অনুমোদন দেওয়া নেওয়ার বিষয়টি।
রিপাবলিকান সিনেটর জশ হাওলে বলেছেন, এটি এক ধরণের বৈপ্লবিক প্রযুক্তি হতে পারে, তবে তিনি নতুন এই প্রযুক্তিকে পারমাণবিক বোমার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী বেশির ভাগ আমেরিকান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১ শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা, আল-জাজিরা
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.