11/24/2024 জামালপুরের নকশিকাঁথা যুক্ত হওয়ায় জিআই পণ্যের সংখ্যা বেড়ে ৩১
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০৯
বৃহস্পতিবার নতুন তিনটি জিআই পণ্য হিসেবে যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান ও জামালপুরের নকশিকাঁথা নিবন্ধনের জন্য জার্নালে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে ৩১ টি পণ্য অনুমোদন পেয়েছে এ পর্যন্ত।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আরো চারটিকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশিত হয়। সেগুলো হলো রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজরের আগর ও আগর আতর এবং মুক্তাগাছার মন্ডা।
বাংলাদেশে জিআই পণ্যের অনুমোদন দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। ২০০৩ সালে এটি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ পাস হয়। এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এরপর স্বীকৃতি পায় আরো ২০টি পণ্য। সেগুলো হলো—বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, বাংলাদেশের কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
আর সম্প্রতি অনুমোদিত তিনটি পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ী, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার অনুমোদনের কপি ও জার্নাল গত ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.