11/23/2024 আকাশসীমা লঙ্ঘন না করতে মিয়ানমারকে ঢাকার সতর্কবার্তা
মুনা নিউজ ডেস্ক
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:৪৭
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে দেশটির বিমানবাহিনীর কোনো যুদ্ধবিমান যাতে বাংলাদেশের সীমানায় না ঢোকে, এ ব্যাপারে দেশটিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলবের সময় এক প্রতিবাদপত্রে বাংলাদেশ এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় তার হাতে প্রতিবাদপত্র তুলে দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার অনুবিভাগ) মিয়া মো. মাইনুল কবির। প্রতিবাদপত্রে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসা মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রাণহানি বা সম্পত্তির জন্য ক্ষতিকারক এমন কোনো ধরনের অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রাখাইন থেকে আর কোনো বাস্তুচ্যুতকে বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না বলে রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে। মিয়ানমার বিমানবাহিনী সীমান্তের খুব কাছে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে এবং তারা যেন বাংলাদেশ সীমানায় না প্রবেশ করে, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
জবাবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়গুলো তার সরকারকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি সদস্যদের দ্রুততার সঙ্গে ফেরত নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গোলাবারুদ পড়া, বাংলাদেশি নিহত হওয়ায় ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এজন্য দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত তার সরকারের কাছে প্রতিবাদের বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। মিয়ানমার জানিয়েছে নৌরুটে তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ চলছে। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসছেন বিজিপি, সেনাবাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৩ দিনে মিয়ানমারের মোট ২৬৪ জন নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.