11/22/2024 যুদ্ধের মধ্যে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন পুতিন
মুনা নিউজ ডেস্ক
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৪৭
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করতে তুরস্ক সফর করবেন। ওই দিন তিনি তুরস্কের মাটিতে পা দিলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই হবে ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। ৩১ জানুয়ারি, বুধবার এক তুর্কি কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত বছরের মার্চে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তার বিদেশ সফর বেশ সীমিত হয়ে আসে। অবশ্য আইসিসির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো। রাশিয়া আইসিসির সদস্য না হওয়ায় তাদের আদেশের কোনো বৈধতা নেই বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন।
অবশ্য তুরস্কও আইসিসির রোম সংবিধির সদস্য নয়। ফলে সেখানে গেলে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে তুরস্কের। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে দুই দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষার চেষ্টা করছে আঙ্কারা। ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক একদিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে অন্যদিকে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতাও করছে।
কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তিতে ফিরে আসতে রাশিয়াকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক। এই চুক্তির আওতায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেন বিশ্ব বাজারে খাদ্য শস্য রপ্তানি করে আসছিল। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে হওয়া এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল তুরস্ক ও জাতিসংঘ। তবে পশ্চিমারা রাশিয়ার দাবি-দাওয়া পূরণ না করায় এক বছরের মাথায় গত বছরের জুলাই মাসে চুক্তি থেকে সরে যায় মস্কো।
রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে; বিশেষ করে পর্যটন, গ্যাস সরবরাহ, শস্য ও অন্যান্য কৃষি বাণিজ্যে। তবে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও দুই দেশের মাঝে যথেষ্ট বিরোধও রয়েছে। সিরিয়া ও লিবিয়ার সংঘাতে দুই দেশ পরস্পর বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে আসছে। একই কথা প্রযোজ্য দক্ষিণ ককেশাসের আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা নিয়েও।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.