11/22/2024 বান্দরবান সীমান্তে মর্টার শেল বিস্ফোরণ
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:১৫
বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে সীমান্তের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ২৯ জানুয়ারি, সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তুমব্রুর ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছৈয়দুর রহমান হিরা কালবেলাকে জানান, ২৮ জানুয়ারি, রোববার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মিয়ানমারের সামান্য ভেতরে সে দেশের দুটি হেলিকপ্টার আকাশে মহড়া দিতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা করার জন্য ওই হেলিকপ্টারের মহড়া চলে। হঠাৎ করে হেলিকপ্টার সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি আসার ফলে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে থাকা মানুষের মনে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সোমবার সকালেও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা এপারে বসবাস করছি সবাই আতঙ্কে আছি, কখন কোন সময় কি হয় জানি না। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ২৮ জানুয়ারি, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।
একটি বসতবাড়িতে মিয়ানমার থেকে ছুড়ে আসা গুলি আঘাত করে। রাইফেলের গুলিটি এলাকায় এসে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তথ্য মতে, বিদ্রোহীদের আক্রমণে দিশেহারা মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দেশটির সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারানো এলাকা পুনরুদ্ধারে স্থল অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি বিদ্রোহীদের দমনে তাদের ওপর চলানো হচ্ছে বিমান হামলাও। দুপক্ষের সংঘাতে গোলাগুলির ভয়ানক শব্দে মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা বাংলাদেশি বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গা শিবিরেও।
এদিকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় সতর্ক রয়েছে জানিয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সীমান্তের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। যাতে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা কিংবা বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তেমন কোনো উত্তেজনা কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন এপিবিএন-৮-এর অতিরিক্ত ডিআইজি আমীর জাফর। তিনি বলেন, ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কঠোর অবস্থান রয়েছি। ক্যাম্পে উত্তেজনা ছড়ানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.