11/23/2024 বাংলাদেশের অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ০৫:০৪
বাংলাদেশেরে অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
আজ ১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সচিবালয়ে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন তিনি। ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘বর্তমানেও অধিদপ্তরের সর্ভিলেন্স চালু রয়েছে, তাকে আরও গতিশীল করা হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে সব মিলিয়ে ৯ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আট হাজার হাসপাতাল রয়েছে। আমি যখন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ছিলাম, এটি তখনকার হিসাব। এক বছর হলো আমি পরিকল্পনা শাখায় চলে এসেছি। ফলে একদম সঠিক তথ্যটা এই মুহূর্তে বলা আমার জন্য কঠিন। যদিও বর্তমানে আমি দুটি দায়িত্বই পালন করছি। ফলে খুব দ্রুত মহাপরিচালকের সঙ্গে বসে এক বছর আগে যে কাজ করছিলাম তা আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে আমরা সারাদেশেই একটা ক্রাশ অভিযান চালিয়েছি। এতে যারা নিবন্ধিত ছিল না, তারা নিবন্ধিত হয়েছে। আমাদের কাছে তাদের তথ্য আছে। নিবন্ধনটা একটি চালমান প্রক্রিয়া। কোথায় অনিবন্ধিত হাসপাতাল আছে তা আমাদের লোকজন দেখে। যখনই আমরা তথ্য পাই, আমরা চেষ্টা করি তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
আহমেদুল কবীর বলেন, ‘সারা দেশ বিরাট একটা জায়গা। সারাদেশে কত ধরনের ঘটনা ঘটে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও জানে না। কোনো একটা নাশকতা ঘটার পর তা জানা যায়। অর্থাৎ সার্বক্ষণিক সার্ভিলেন্স করা তো সম্ভব হয় না। তেমনই হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের বাইরে কিছু হচ্ছে না, তা বলা মুশকিল। তবে আমরা সারাদেশে আবারও সার্ভিলেন্স চালাতে বলেছি। আমাদের চলমান অভিযান আরও সক্রিয় করা হবে।’
ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতাল বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘তারা ইউনাইটেড হেলথ সার্ভিস নামে এটা চালাচ্ছিল। তাদের বক্তব্য, এটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। কিন্তু বিষয়টা আসলে সে রকম না। যে কোনো হাসপাতাল চালাতে হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে। হেলথ সার্ভিসের নামে চালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বড় প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ বা ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বড়-ছোট কোনো বিষয় নয়। এটি হলো নৈতিকতার প্রশ্ন।’
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.